আমাদের দেশ ¯^vaxb হয়েছে দীর্ঘ ৩৭ বছর পেরিয়ে গেছে। সুদীর্ঘকালের ঔপনেবেশিক শাসন থেকে সুদীর্ঘ সময় ধরে লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয়েছে এদেশের মানুষ। আমাদের দেশের প্রকৃতিগতভাবে প্রদত্ত বিপুল সম্পদের লোভে পড়ে শত শত বছর ধরে এদেশের সম্পদ ও মানুষের মানবাধিকার, মৌলিক অধিকার লুন্ঠন করেছিল তারা। একের পর এক সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্র এদেশকে শোষণ চালিয়েছে শত শত বছর ধরে। শোষন-বঞ্চনার মধ্য দিয়ে চুষে নিতে চেয়েছে এদেশের সম্পদসমূহকে। সারা বিশ্ব জানে, আমাদের দেশের রয়েছে বিপুল সম্পদ, বিপুল সম্ভাবনা, যে সম্পদ-সম্ভাবনাগুলোকে ব্যবহার করে একটি দেশ সহজেই উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে। কিন্তু আমরা কি আমাদের এই সম্পদ-সম্ভাবনাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পেরেছি? আমাদের আরো পরে ¯^vaxb হয়েও অনেক দেশ তাদের অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত অবস্থান আমাদের চেয়ে অনেক উন্নত করে ফেলেছে। অথচ একটু ভালোভাবেই দৃষ্টি দিলে দেখা যাবে এসব দেশের অনেকগুলোর এত সম্পদ প্রকৃতিগতভাবে প্রদত্ত ছিল না। আমাদের এই এশিয়ারই দেশ, সিঙ্গাপুর, প্রাকৃতিকভাবে সম্পদশালী না হওয়া সত্ত্বেও কৃত্রিমভাবে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে আজ উন্নত দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু আমরা কি পেরেছি? সাম্রাজ্যবাদী গোষ্ঠীরা যেসব সম্পদ লুন্ঠনের লোভে এদেশকে বারবার শোষণ চালিয়েছিল এবং এখনো যে সম্পদগুলোর দিকে লোভাতুর দৃষ্টিতে তাদের নগ্ন থাবা বাড়ানোর চেষ্টা করছে, অথচ আমরা কেন এসব সম্পদের সঠিক মূল্য বুঝতে পারলাম না?
¯^vaxbZvi তিন দশকের অধিক সময় পেরিয়ে যাবার পর বর্তমানে যদি কাউকে জিজ্ঞেস করা হয় যে, কেন আমরা এত বছরেও উন্নত হতে পারলাম না? এক বাক্যে নিশ্চিত সবাই বলবে ‘ দুর্নীতি ও ¯^v_©ciZvÕ| আমাদের দেশে এমন কোন ড়্গেত্র নেই যেখানে সংশিস্নষ্টরা দুর্নীতি করেনি। এদেশের রাষ্ট্রীয় ড়্গমতায় বিগত দিনগুলোতে যারা বসেছিল, যারা বিভিন্ন কাজের দায়িত্ব পেয়েছিল তারা দেশের ¯^v‡_©i উর্ধ্বে নিজেদের ¯^v_© দেখেছিল বলেই আজকে আমাদের দেশের এই অবস্থা। প্রায় সব ড়্গেত্রেই আমরা পিছিয়ে আছি, অর্থনীতি, ¯^v¯’¨, শিড়্গা, বিজ্ঞান, যোগাযোগসহ সকল ড়্গেত্রে। এদেশের অনেক স্থানে রাসত্মা-ঘাট, ব্রিজ ইত্যাদি নেই অথবা কাজ শুরম্ন হয়েও দুর্নীতির কারণে কাজ সম্পন্ন হতে পারে নি? যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয় সে দেশের উন্নয়নও পিছিয়ে যায়।
তবে এদেশের মানুষ ঘুরে দাঁড়িয়েছে, দুর্নীতির বিরম্নদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। এদেশেও ধীরে ধীরে উন্নয়ন ঘটতে শুরম্ন করেছে। বিভিন্ন ড়্গেত্রে পরিবর্তনের ছোঁয়া দেখা যাচ্ছে। ‘জনগণ সর্বময় ড়্গমতার অধিকারী’- এ কথাটি আগে রাজনীতিবিদরা মুখে বললেও বিশ্বাস করতেন না। কিন্তু জনগণ ভোটের মাধ্যমে একথাটি তাদের বিশ্বাস করতে শিখিয়েছে। ২০০৮ সালে wW‡m¤^‡ii নির্বাচন থেকে আমাদের দেশে রাজনীতিবিদদের শিড়্গার অনেক কিছু আছে। এ জাতিই তাদের মেধা, মনন, সচেতনার মধ্য দিয়ে অবশ্যই এদেশকে উন্নয়নের পথে নিয়ে যাবে।
সমপ্রতি প্রকাশিত ASIAN DEVELOPMENT BANK (ADB)- এর ‘BANGLADESH : Political and Economic update’ বিশেস্নষণ করে দেখা গেছে, বর্তমানে আমাদের দেশের ৬০ মিলিয়ন লোক দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। অর্থাৎ তাদের দৈনিক আয় মাত্র ১ ডলারেরও নিচে (যদিও বর্তমানে দারিদ্র সীমা যাচাইয়ের মান জনপ্রতি দৈনিক আয় ২ ডলারের নিচে নির্ধারণ করা হচ্ছে)। ২০০৯ অর্থ বছরের (জুলাই ২০০৮ থেকে জুন ২০০৯) প্রথম ভাগে আমাদের দেশের রপ্তানী বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিদেশ থেকে রেমিটেন্স আদায়ও হয়েছে বেশি। b‡f¤^i ২০০৮ পর্যনত্ম রপ্তানী ড়্গেত্রে লড়্গ্যমাত্রার ২৭ শতাংশ এবং wW‡m¤^i ২০০৮ পর্যনত্ম রেমিটেন্স আদায় হয়েছে লড়্গ্যমাত্রার ৩১ শতাংশ যা বিগত অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার বর্তমান সময়ের পূর্বে ২০০৯ অর্থবছরের অর্থনৈতিক উন্নয়নের লড়্গ্্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৬.৫ শতাংশ, কিন্তু এডিবি মতে বর্তমান সময়ে এসে ৫.৮ শতাংশ পর্যনত্ম অর্জন হতে পারে। এছাড়া শিল্প ড়্গেত্রে উন্নতির লড়্গ্যমাত্রা ৬.৯ শতাংশ ধরা হলেও তা ৬.৭ শতাংশ পর্যনত্ম অর্জন হতে পারে, তবে তাও নির্ভর করবে অর্থনৈতিক মন্দার এ সময়ে বিশ্বের চাহিদার উপর। তবে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ২০০৮ অর্থবছরে ৯.৯ শতাংশ থাকলেও ধারণা করা হচ্ছে তা ৭.৫ শতাংশে নেমে আসতে পারে। আবার ২০০৯ অর্থ বছরের জুলাই থেকে b‡f¤^i মাসে রেভিনিউ আদায়ের হার মাত্র ১৫.৩ শতাংশ হলেও ২০০৮ অর্থবছরের ঐ সময়ে তা ছিল ২২.৪ শতাংশ। বাংলাদেশ সরকারের ২০০৯ অর্থ বছরের কৃষি ড়্গেত্রে উৎপাদনের লড়্গ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ শতাংশ যা বিগত অর্থ বছরের ০.৪ শতাংশ বেশি। চাল এবং গম উৎপাদনের লড়্গ্যমাত্রা ধরা হয়েছে যথাক্রমে ৩৩.৩ মিলিয়ন ও ১ মিলিয়ন টন, যা বিগত অর্থ বছরের চেয়ে ১৫.১ শতাংশ বেশি।
এডিবি প্রকাশিত ÔBangladesh Quarterly Economic updateÕ October 2008 রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, সরকারের উৎপাদনের লড়্গ্যমাত্রাকে উচ্চাবিলাসী মনে হলেও প্রাকৃতিক কোন দুর্ঘটনা না ঘটলে তা অর্জন করা অসম্ভব নয়। আবার আরেকটি সুখের বিষয় হলো, ২০০৯ অর্থ বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর ২০০৮ পর্যনত্ম বিদেশ থেকে খাদ্য আমদানী করা খাদ্য দ্রব্যের পরিমাণ (সরকারী ও বেসরকারীভাবে সংগৃহীত) মাত্র ০.৮ মিলিয়ন টন (০.৪ মিলিয়ন টন চাল ও ০.৪ মিলিয়ন টন গম), যা গত অর্থ বছরে একই সময়ে ছিল ১.২ মিলিয়ন টন। এডিবি’র রিপোর্টে বলা হয়েছে, বৃহৎ ও মাঝারি শিল্পে পন্য উৎপাদনে বিগত অর্থ বছরের একই সময়ের তুলনায় জুলাই ২০০৮ সালে উন্নতির মাত্রা ১৮.৯ শতাংশ বেশি। শিল্প ড়্গেত্রে লড়্গ্যমাত্রা বিগত বছরের উৎপাদন চেয়ে পরিমাণ হলো টেক্সটাইল ও চামড়া শিল্প (৩৭.৩%), মেটাল (১৬.৫%), ফার্নিচার (১১.২%), ননমেটালিক সামগ্রী (১০.৫%) এবং ফেব্রিক্স মেটাল (৫.৩%)। ড়্গুদ্র শিল্পে উৎপাদনের হার বেড়েছে বিগত অর্থ বছরের চাইতে ৫.৮% বেশি। ২০০৯ অর্থ বছরের প্রথম ভাগে বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্যের উচ্চ হারের কারণে উন্নয়ন কিছুটা বাধাগ্রস্থ হলেও পরবর্তীতে মূল্য কমার ফলে দেশের পাইকারী ও খুচরা বাজার, পরিবহন ব্যবস্থা, টেলিকমিউনিকেশন, আবাসন সুবিধাসহ নানা অবকাঠামোগত উন্নয়ন ভালোভাবে এগিযে চলছে। বাংলাদেশের জিডিপিসহ উন্নয়নের লড়্গ্যমাত্রা পূরণে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও রাজনৈতিক অবস্থার উপর অনেক ড়্গেত্রে নির্ভরশীল। ২০০৮ অর্থ বছরে লড়্গ্যমাত্রা অনুযায়ী জিডিপি বৃদ্ধি হার প্রথমার্ধে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কিছুটা বিপদগ্রস্থ হলেও অর্থ বছরের মধ্যভাগে গার্মেন্ট রপ্তানী বৃদ্ধি ও রেমিটেন্স আদায়ের হার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে ঐ অর্থবছরে ৬.২ শতাংশ জিডিপি অর্জিত হয়। বর্তমান ২০০৯ অর্থ বছরে জিডিপির লড়্গ্যমাত্রা ৬.৫ শতাংশ ধরা হলেও বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তা হয়তো ৫.৫ শতাংশ থেকে ৬ শতাংশ পর্যনত্ম অর্জিত হতে পারে। ফলে অর্থনৈতিক উন্নয়নও কিছুটা বাধাগ্রস্থ হবে।
International Labour Or. - এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন ২০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১২ তম। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৩০ মিলিয়ন বেকার রয়েছে এবং দেশে আগামী ৩ বছরের মধ্যে ৭.৩ মিলিয়ন অতিরিক্ত চাকরি সৃষ্টির প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বেকারদের এই সংখ্যা এভাবে বাড়তে থাকলে তা হয়তো বা ২০১৫ সালের মধ্যে ৬০ মিলিয়নে গিয়ে ঠেকবে। যদি না নতুন চাকরি ড়্গেত্র তৈরি করা সম্ভব হয়।
২০০৯ অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে রেভিনিউ আদায়ের হার বেড়েছে ১৮.৮ শতাংশ। আদায়ের হার বেড়েছে আমদানীতে ট্যাক্স (২৭.৪ %), আভ্যনত্মরীন ট্যাক্স (১৪.৭%), আভ্যনত্মরীন ভ্যাট (২০.১%)। তবে সরকারী ব্যয়ের লড়্গ্যমাত্রা ২০০৮ অর্থ বছরের (সংশোধিত) তুলনায় ১৬.১ শতাংশ বেশি। এছাড়া ঘাটতি বাজেট রয়েছে জিডিপির ৪.৯ শতাংশ যা বিগত অর্থ বছরের তুলনায় ০.২ শতাংশ বেশি। তবে বৈদেশিক সাহায্যেও পরিমাণ বেড়েছে, ২০০৯ অর্থ বছরের জুলাই-আগস্ট ২০০৮ এ ১৫.৭ বিলিয়ন টাকা যা ২০০৮ অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল মাত্র ১.৯ বিলিয়ন টাকা।
বর্তমানে আমাদের দেশের পুঁজি বাজারের অবস্থাও খুব খারাপ। পুঁজি বাজারের মধ্যে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন মাত্র ৪ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের জিডিপির মাত্র ১৯ শতাংশ। অথচ আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নয়াদিলস্নী স্টক এক্সচেঞ্জের ও জাপানের স্টক এক্সচেঞ্জের বাজার মূলধন যথাক্রমে ৫২৯ ও ২৮৮২ বিলিয়ন ডলার, যা দেশের জিডিপির ৪৮ ও ৬৫ শতাংশ। এছাড়া বারবার টাকার অবমূল্যায়নের প্রভাবও পড়ছে আমাদের অর্থনীতিতে। কয়েকটি রিপোর্টে দেখা গেছে, চলমান ব্যবসা-বাণিজ্যেও সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান নিম্নমুখী, ২০০৮ এ বিশ্বের ১৮১ দেশের মধ্যে ১১০তম অথচ ২০০৭ এ তা ছিল ১৭৮ দেশের মধ্যে ১০৭তম (বিশ্ব ব্যাংক)। অর্থনৈতিক ¯^vaxbZvi সূচকেও এদেশের অবস্থান নিম্নমুখী, ২০০৮ এ বিশ্বের ১৫৭ দেশের মধ্যে ১৪৯তম অথচ ২০০৭ এ তা ছিল ১৫৭ দেশের মধ্যে ১৪৩তম (হেরিটেজ ইন্টারন্যাশনাল)। মানব উন্নয়ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উধ্র্ধমুখী, ২০০৮ এ বিশ্বের ১৭৯ দেশের মধ্যে ১৪০তম যা ২০০৬ এ তা ছিল ১৭৯ দেশের মধ্যে ১৪৭তম (ইউএনডিপি)। এছাড়া শিশু উন্নয়ন সূচকেও বাংলাদেশের অবস্থান উধ্র্ধমুখী, ২০০০-০৬ এ বিশ্বের ১৩৭ দেশের মধ্যে ৯৮তম যা ১৯৯৫-৯৯ এ তা ছিল ১১৩ দেশের মধ্যে ৯৩তম (সেভ দ্য চিলড্রেন, ইউকে)।
২০১৫ সালের মধ্যে মিলেনিয়াম ডেভেলেপমেন্ট গোল বাসত্মবায়নের ড়্গেত্রে ইউএনডিপি’র রিপোর্টে জানা গেছে, এদেশের মানুষের দৈনিক গড় আয়ু বেড়েছে। দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসরত মানুষের সংখ্যা ২০০৭ সালে ছিল প্রায় ৩৮ শতাংশের নিচে যা ১৯৯১ এ ছিল ৫৮.৮ শতাংশ। দেশের যেসব লোক দৈনিক ১৮০৫ কিলোক্যালরীর কম খাদ্য গ্রহণ করে তাদের সংখ্যা ২০১৫ সালের মধ্যে ১৪ শতাংশে নামিয়ে আনার লড়্গ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে যা ২০০৫ সালে ১৯.৫ শতাংশে এ নামানোর লড়্গ্যমাত্রা থাকলেও এটি লড়্গ্যমাত্রা অতিক্রম করেছে (১৯.৬ শতাংশ)। ১০০ ভাগ শিড়্গিত জাতি তৈরির মিলেনিয়াম ডেভেলেপমেন্ট গোল টার্গেট পূরণে ২০০৫ এর মধ্যে প্রাইমারী ও উচ্চ শিড়্গিতের হার যথাক্রমে ৮৭% ও ৫৪% এ উন্নিত হয়েছে।
বাংলাদেশকে উন্নত করার জন্য নানাবিধ চেষ্টা চলছে। শুধুমাত্র নিজের দেশের উন্নয়নের জন্য বিদেশীদের সাহায্য গ্রহণ নয় বরং আমরাও নানাভাবে তাদেরকে সাহায্য করি। এদেশের লড়্গ লড়্গ প্রবাসী বিদেশে কাজ করে যেমন দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে তেমনি সেদেশের অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখছে। অনেক প্রবাসী বিদেশে শিড়্গকতা করে, সরকারী চাকরি করে অনেক দেশে শিড়্গা বিসত্মারে ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ভূমিকা রাখছে। আমাদের দেশের সেনাবাহিনী অনেক দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। এদেশ থেকে শুরম্ন হওয়া ড়্গুদ্র ঋণ কার্যক্রম আজ বিশ্বব্যাপী সমাদ্রিত। এদেশের প্রায় ৩০ মিলিয়নেরও অধিক দরিদ্র মানুষ এ ঋণ কার্যক্রমের সাথে যুক্ত থেকে নিজেকে দারিদ্রতা থেকে মুক্ত করার চেষ্টা করছে, যদিও এ ঋণ কার্যক্রমের কোন কোন ড়্গেত্রে ‘ফ্ল্যাট’ নিয়মে ১২.৫% দেখিয়ে ২৫-৩০%ও নিতে দেখা গেছে। এ ধারা থেকে বের হতে পারলে ড়্গুদ্র ঋণ কার্যক্রম একটি আরো সমৃদ্ধ হতে পারতো। অলাভজনক প্রতিষ্টান পিকেএসএফ এ পর্যনত্ম প্রায় ২৫০টির মতো সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ১০ মিলিয়ন ঋণীকে ৬০০০০ মিলিয়নেরও অধিক টাকা ঋণ দিয়েছে। ব্র্যাক, গ্রামীণ ব্যাংকসহ অনেক প্রতিষ্টান আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড চালাচ্ছে। সমগ্র বিশ্বে আজ ড়্গুদ্র ঋণ গ্রহণকারীর সংখ্যা ১১০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। এ মডেলটি সম্পূর্ণ আমাদের দেশ থেকে নেয়া।
বাংলাদেশের উন্ন্য়ন ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে। আশা আর হতাশার মাঝে উন্ন্য়নের জন্য আজ সমগ্র জাতিকে সচেতন হতে হবে, দুর্নীতির বিরম্নদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। এদেশের সকল ড়্গেত্রে সকল স্থানকে ¯^RbcÖxwZ মুক্ত রাখার জন্য সোচ্চার হতে হবে। সন্ত্রাসী-দুর্নীতিবাজদেরকে সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে, দুর্নীতির বিরম্নদ্ধে সচেতনতা সৃাষ্ট করতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সর্বড়্গেত্রে আধুনিকীকরণ, সচ্চতা ও জবাবদিহিতার ড়্গেত্র তৈরি করতে হবে। বিদেশী নির্ভরতা কমিয়ে নিজেদের সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে উন্নতির শীর্ষে পৌঁছাতে হবে। আমার বিশ্বাস, দুর্নীতিমুক্ত একটি দেশ তৈরি করতে পারলে অতি শীঘ্রই আমরা একটি উন্নত জাতি হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবো। যে জাতি ভাষার জন্য, ¯^vaxbZvi জন্য রক্ত দিয়েছে সে জাতি ঘুরে দাঁড়াতেও জানে। এদেশ উন্নয়নের যে ট্র্যাকে চলতে শুরম্ন করেছে তা আরো গতি পাবে এবং নিকট ভবিষ্যতেই আমরা এদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে পাব।
Published in Samadikshon, February 2009, a little mag of Samaj Samiksha sangha
Comments
Post a Comment